প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন যেভাবে
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:০৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদেশে বসেই যাতে ভোট দেওয়া যায়— সেই লক্ষ্যেই চালু হচ্ছে নতুন ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ। অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন হলেই সংশ্লিষ্ট ভোটারের ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ব্যালট পেপার।
অ্যাপ উদ্বোধনের প্রস্তুতির মধ্যে সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে পোস্টাল ভোট বিডি উদ্বোধন হবে। এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলফলক।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে এবং ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে দলের প্রতিনিধিদের সহায়তা চান সিইসি।
ইসি জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী ভোটারদের কাছে ব্যালট পৌঁছানো থেকে শুরু করে ভোট দিয়ে তা ফেরত পাঠানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে। কোনো কোনো দেশে এটি পৌঁছাতে ১৫ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে প্রবাসীদের পাঠানো ব্যালটে থাকবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের নাম ও প্রতীক। পাশাপাশি যুক্ত থাকবে ‘না’ ভোটের অপশনও। তবে কোনো আসনে যদি একমাত্র প্রার্থী থাকেন, কেবল সেই আসনের প্রবাসী ভোটাররাই ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
নিবন্ধন পদ্ধতি সম্পর্কে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে. এম. আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, অ্যাপে নিবন্ধন শেষে ভোটার তার নিজ আসনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত প্রতীক দেখতে পারবেন। এরপর ব্যালট ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হলে ভোট দিয়ে তা আবার বাংলাদেশে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন তারা। পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, আর প্রত্যেক ভোটারের জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৭০০ টাকা।
ইসি আরও জানিয়েছে, বিদেশে বসে অ্যাপ ব্যবহার করা নিশ্চিত করতে সেখানে জিও-লোকেশন ব্যবস্থা সচল থাকবে। ফলে বাংলাদেশের ভেতর থেকে এই অ্যাপ ব্যবহার করে ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না। এজন্য প্রত্যেক প্রবাসী ভোটারের থাকতে হবে একটি আন্তর্জাতিক সিমকার্ড, যা দিয়ে তারা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
ইসির প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের টিম লিডার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালীম আহমাদ খান বলেন, “এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য— দেশের বাইরে থাকা লাখো বাংলাদেশিকে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি সম্পৃক্ত করা। তাদের ভোট নিরাপদ ও নির্ভুলভাবে দেশে পৌঁছাতে সব ধরনের প্রযুক্তি ও লজিস্টিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
