জোর করে চুল কেটে দেওয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন: আসক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৪৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রকাশ্যে জোর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংগঠনটির মতে, এ ধরনের আচরণ বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ব্যক্তির মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করে।
আসক বলছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রতিটি নাগরিককে আইনের আশ্রয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার দিয়েছে। ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ কারও প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ নিষিদ্ধ করেছে।
মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, প্রকাশ্যে জোর করে চুল কেটে দেওয়া কেবল ভুক্তভোগীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতারই লঙ্ঘন নয়, বরং এটি তার মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের ঘটনা সমাজে ভীতি, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করে আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আর কোনো নাগরিক এমন অবমাননাকর ও বেআইনি আচরণের শিকার যাতে না হন, রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে।