শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

নিউইয়র্কে ইউনূস-ওসমানি বৈঠক

বাংলাদেশ-কসোভো সম্পর্ক জোরদারের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:৪৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ-কসোভো সম্পর্ক জোরদারের প্রস্তাব

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিওসা ওসমানি। স্থানীয় সময় বুধবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অভিবাসন, বাণিজ্য, পারস্পরিক সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভিওসানি কসোভোর প্রতি বাংলাদেশের প্রাথমিক ও ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে বাংলাদেশ ছিল কসোভোকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশগুলোর একটি।

সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চলে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কসোভো সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গণহত্যা ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে দেশটি অর্থনীতি পুনর্গঠন করেছে এবং বর্তমানে কসোভো ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবে স্বীকৃত।

ওসমানি আরও জানান, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় বাংলাদেশের নাগরিক কসোভোতে কাজ করছেন এবং দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে কয়েকটি বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেন কসোভো প্রেসিডেন্ট। বিশেষভাবে তিনি বস্ত্র খাতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই খাতে সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কসোভো প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। একইসঙ্গে তিনি ঢাকায় একটি কসোভো বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর আহ্বান জানান, যাতে তারা সরাসরি অর্থনৈতিক সুযোগগুলো অনুসন্ধান করতে পারে। এ ছাড়া তিনি নিয়মিত যুব বিনিময় কর্মসূচি চালুর পক্ষে মত দেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে।

বৈঠকে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই ধরনের চুক্তি নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করবে এবং উভয় দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা কসোভোর আতিথেয়তা ও আন্তরিকতার প্রশংসা করেছেন।

বৈঠকে এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন