শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

প্রধান বিচারপতির ঘোষণা

“আদালতের সংস্কৃতি ও জনগণের প্রত্যাশায় ইতিবাচক পরিবর্তন”

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:৫০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“আদালতের সংস্কৃতি ও জনগণের প্রত্যাশায় ইতিবাচক পরিবর্তন”

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আদালতের সংস্কৃতি, জনগণের প্রত্যাশা ও প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের ফলে। তিনি জানান, একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি প্রায় সম্পূর্ণ, যা বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বরিশালে ‘বাংলাদেশে বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক এক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সেমিনারের আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপি। সভাপতিত্ব করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা এখন বাস্তবায়িত হয়েছে। এর ফলে বদলে গেছে আদালতের কার্যপদ্ধতি, জনগণের আস্থা এবং বিচার বিভাগের প্রতি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রশাসনিক দ্বৈত কাঠামো (পদায়ন, বদলি ও শৃঙ্খলা) অবসানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুসংহত হবে।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ জানান, ব্যাংকক, দুবাই, জোহানেসবার্গ ও সাও পাওলোতে তিনি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সংস্কারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে তুলনীয় করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলা বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপকে যুগোপযোগী বলে উল্লেখ করেন এবং বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন