চোখের সামনে মৃত্যু! স্কাইডাইভিংয়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন অজয় দেবগন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:২৪, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
‘দে দে পেয়ার দে ২’-এর প্রচারে এক আড্ডায় সহ–অভিনেতা আর মাধবন প্রথমে স্মরণ করেন অজয়ের পুরোনো এক স্টান্টের কথা। মাধবনের ভাষায়, অজয় প্লেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে স্কাইডাইভিং করেছিলেন, তাও আবার প্রায় কোনও প্র্যাকটিস ছাড়াই, ছবির শুটিংয়ের জন্য।
এই প্রসঙ্গ ধরেই নিজের বাস্তব জীবনের এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলতে শুরু করেন অজয় দেবগন। তিনি জানান, স্কাইডাইভিংয়ের ট্রেনিং নিতে গিয়ে যে দৃশ্য তিনি দেখেছিলেন, তা এখনও ভোলা কঠিন।
অজয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা যখন ট্রেনিং ক্যাম্পে গেছেন, তখনই এক ব্যক্তি ওপর থেকে ঝাঁপ দেন।
কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, তার প্যারাশুট খুলেইনি। অজয়ের চোখের সামনেই মাটিতে আছড়ে পড়ে মৃত্যু হয় সেই প্রশিক্ষণার্থীর। আর সেই লাইনে ঠিক ওই ব্যক্তির পরেই ঝাঁপ দেওয়ার কথা ছিল অজয়ের। ঘটনাটা স্মরণ করতে গিয়ে এখনও নাকি তাঁর গলা কেঁপে ওঠে, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়— এমনটাই উঠে এসেছে ওই সাক্ষাৎকারের বর্ণনায়।
অজয় আরও জানান, একই জায়গায় হলিউড তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওরও প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে ডিক্যাপ্রিওর ক্ষেত্রে তাঁর ট্রেনার দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে পড়ে গিয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে আনতে পেরেছিলেন।
সেটে ‘ভাঙ’ প্র্যাঙ্ক, জাভেদের ধারণা— “আজই বুঝি শেষ দিন!”
শুধু আকাশে নয়, অজয়ের দুষ্টুমিও মাঝে-মধ্যে সহ–শিল্পীদের কপালে ভাঁজ ফেলে। আরেকটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জাভেদ (জাভেদ জাফরি) জানিয়েছেন, ‘দে দে পেয়ার দে ২’-এর সেটে অজয়ের এক ‘মজা’ তাঁকে কীভাবে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল।
জাভেদের কথায়, তিনি ধূমপান করেন না, মদও খান না। হোলির সময় সেটে উৎসবের মেজাজে নানা খাবার পরিবেশন হচ্ছিল। তিনি না জেনেই ভাঙ মেশানো খাবার খেয়ে ফেলেন। এরপরই আচমকা অদ্ভুত লাগতে শুরু করে। চারপাশ যেন অন্ধকার গহ্বরে টেনে নিচ্ছে— এমন অনুভূতি হচ্ছিল।
ভয় পেয়ে তিনি সহকারীকে ডেকে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন, যেন শেষ ইচ্ছে জানাচ্ছেন। ছেলেকেও ফোন করেন। তখনও তিনি বুঝতে পারেননি, এটা আসলে অজয়েরই কাণ্ড— খাবারে আগে থেকেই ভাঙ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নিছক ‘প্র্যাঙ্ক’ হিসেবে।
‘দে দে পেয়ার দে ২’: বয়সের ফারাক পেরিয়ে ভালোবাসার গল্প
অজয় দেবগনের নতুন ছবি ‘দে দে পেয়ার দে ২’ মূলত এগিয়েছে প্রথম পর্ব ‘দে দে পেয়ার দে’-এর গল্পেরই পরের অধ্যায় থেকে। বয়সে বড় এক পুরুষ আর অনেক ছোট এক নারীর সম্পর্ক, পারিবারিক-সামাজিক চাপে সেই সম্পর্কের টানাপোড়েন— সব মিলিয়ে রোম্যান্স, ড্রামা আর কমেডির মিশেলে তৈরি প্লট।
ছবিতে অজয়ের বিপরীতে রয়েছেন রাকুল প্রীত সিং। গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু চরিত্রে দেখা যাচ্ছে টাবু, ঈশিতা দত্ত, আর মাধবনসহ আরও কয়েকজনকে। পরিচালনা করেছেন অংশুল শর্মা, গল্প লিখেছেন লাভ রঞ্জন, আর প্রযোজনায় রয়েছেন ভূষণ কুমার।
বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ভালো সাড়া পাচ্ছে ছবিটি। তবে তার থেকেও বেশি আলোচনায় এখন অজয়ের সেই স্বীকারোক্তি— স্কাইডাইভিংয়ের ট্রেনিং ফিল্ডে চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখে এসেও আজ তিনি বারবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, দর্শকদের বিনোদন দেন, আর মাঝেমধ্যে সহ–অভিনেতাদের সঙ্গেও এমন সব দুষ্টুমি করেন, যা শুনলেই শিউরে ওঠে ভক্তরা।
