জুবায়েদ হত্যা: বর্ষাসহ ৩ জনের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২৭, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার জুবায়েদের ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষাসহ তিন জনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফ হোসেন এ আবেদন করেন।
এ বিষয় সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘এই মামলায় তিন আসামি ও একজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করা হয়েছে।’
অন্য আসামিরা হলেন- বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি ১৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডে নুর বক্স লেন এর ১৫ নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় পড়ানোর জন্য যান।
একই তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটের সময় ওই ছাত্রী জুবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, জুবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে। কে বা কারা জুবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।
এ বিষয়টি ওইদিন রাত অনুমান ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান ভুক্তভোগী জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। পরে এনায়েত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।
ওই ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় তিনি সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ভবনটির তৃতীয় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে গেলে সিঁড়ির ওপর জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান। পরে ময়নাতদন্ত শেষে গত ২০ অক্টোবর জোবায়েদকে কুমিল্লার কৃষ্ণপুর গ্রামে দাফন করা হয়।