বিজিবিতে নতুন ২,২৫৮ পদ অনুমোদন
চাকরি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:০৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-তে নতুন ২,২৫৮টি পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী এই পদগুলো অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
নতুন পদ সৃষ্টির ফলে বিজিবির মোট সদস্য সংখ্যা ৫৭,৪৭৭ থেকে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৫৯,৭৩৫ জনে। আধাসামরিক এই বাহিনীতে মাঠপর্যায় থেকে প্রশাসনিক স্তর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সীমান্ত প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে সরকার।
সরকারি নথি অনুযায়ী, নতুন কাঠামোতে যুক্ত হচ্ছে—
৩ জন পরিচালক, ৯ জন অতিরিক্ত পরিচালক ও ৯ জন উপ-পরিচালক, যাদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে ডেপুটেশনে নেওয়া হবে।
এই পদগুলো যথাক্রমে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, মেজর ও ক্যাপ্টেন পর্যায়ের সমমর্যাদায় রাখা হবে।
এছাড়া ৩ জন পুলিশ পরিদর্শককেও ডেপুটেশনে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মাঠপর্যায়ের জনবল বৃদ্ধি
নতুন পদগুলোর মধ্যে রয়েছে—
৩ জন সুবেদার মেজর (সকল শ্রেণি)
৫৭ জন নায়েব সুবেদার (সকল বিভাগ)
২৪০ জন হাবিলদার, ২৮৫ জন নায়েক, ৩৪২ জন ল্যান্স নায়েক (অফিস সহকারীসহ)
১,২২১ জন সৈনিক বা সিপাহী (সকল শ্রেণি)
এ ছাড়া বিজিবির গুইমারা হাসপাতালেও নতুন করে চিকিৎসা সহায়ক পদ যোগ হচ্ছে—
৭ জন হাবিলদার, ৩ জন নায়েক, ৬ জন ল্যান্স নায়েক এবং ১৪ জন সৈনিক।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, প্রশাসনিক ও সহায়ক কার্যক্রমে যুক্ত হবেন আরও কিছু বেসামরিক কর্মী—
৩ জন ইমাম, ৩ জন হিসাবরক্ষক, ৩ জন উচ্চ বিভাগের কেরানি, ৩ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট, ৩ জন ধাত্রী ও ৩ জন অফিস সহযোগী।
প্রশাসনিক অনুমোদনের ধাপ
প্রক্রিয়াটি শুরু হয় ১০ সেপ্টেম্বর, যখন প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি প্রস্তাব অনুমোদন করে। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে সেটি কার্যকর হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিজিবির সম্প্রসারিত অর্গানোগ্রাম এখন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর পর্যায়ে।