সিলেটে মুক্তাদিরে আস্থা বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:২২, ৩ নভেম্বর ২০২৫
						বিএনপি চে য়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। ছবি: সমাজকাল
বহুল আলোচিত সিলেট-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আরেক হেভিওয়েট সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত মুক্তাদিরেই আস্থা রাখল কেন্দ্রীয় বিএনপি।
সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে সিলেট-১। এই আসনে বরাবরই হেভিওয়েট হেভিওয়েটে লড়াই হয়ে থাকে। এক সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এই আসন থেকে ভোট করতেন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে বহুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আরেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত। পরবর্তীতে মুহিতের ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমেন এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। এর আগে সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
একসময় সাইফুর রহমান ও মুহিতের লড়াই নির্বাচনি লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। মুহিতকে একাধিকবার হারিয়ে সিলেট-১ এ নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুর রহমান। তারও আগে হুমায়ুন রশিদ ও সাইফুরের লড়াই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
পরবর্তীতে এই আসনে হাল ধরেন সাইফুর রহমানের অনুসারী আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি দুই দুবার মেয়র নির্বাচিত হন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই আসনকে কেন্দ্র করে। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ায় এই আসনে আরিফুলের উন্নয়নের সুযোগ হয়েছে।
এবার আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দুজন। দুজনই আবার বড় নেতা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। শেষ পর্যন্ত মুক্তাদিরই মনোনয়ন পেলেন। সিলেট-১ আসনে তিনবারের নির্বাচিত এমপি খন্দকার আব্দুল মালিকের ছেলে তিনি।
আরিফুল হক চৌধুরী এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাকে এই আসনে মনোনয়ন না দেওয়া হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করবেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের (প্রাথমিক) নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
