নাশকতার মামলায় আ.লীগের ৩২ নেতাকর্মী কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:৩৭, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:০৫, ১১ নভেম্বর ২০২৫
কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ৩২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার পাঁচ মহানগর হাকিম এই আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ওই ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলাগুলো হয়েছে শ্যামপুর, গুলশান, মিরপুর, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানায়। সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। শুনানির সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও অংশগ্রহণের পর্যাপ্ত প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত চলমান থাকায় তাদের জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। জামিনে মুক্তি পেলে তারা পলাতক হতে পারে এবং তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে জানায়, পরবর্তীতে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।
কারাগারে পাঠানোদের মধ্যে রয়েছেন—২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহজালাল সোহেল, ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইউসুফ, মৎস্যজীবী লীগ কর্মী তাপস সরকার, ওসমান গনি, আলতাফ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, আজিজুর রহমান উজ্জ্বল, আদম আলী, মেহেদী হাসান রুবেল, বাদশা মিয়া, পরান মিয়া, সরওয়ার কামাল, আব্দুল কাদের জিলানী, মারুফ হোসেন শান্ত, তারেকুল ইসলাম শান্ত, বিজয় মজুমদার, রফিকুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, ইসমাঈল, রিফাত হোসেন, শওকত ব্যাপারীসহ অনেকে।
এর আগে রবিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও মৎস্যজীবী লীগের কর্মী হিসেবে। তারা সম্প্রতি হরতাল ও অবরোধের নামে সড়কে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, আসামিরা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলক সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৮/৯/১০/১২/১৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে—যা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
