স্যান্টনারের ঝড়ো লড়াইও হার এড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২:১৩, ৫ নভেম্বর ২০২৫
স্যান্টনারের ঝড়ো লড়াইও হার এড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
অকল্যান্ডে রোমাঞ্চকর টি–টোয়েন্টি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ কিউইদের মহারণে নায়ক হয়েও হতাশ মিচেল স্যান্টনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন গুঁড়িয়ে যায় ১০৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে। তখন জয় প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় অধিনায়ক স্যান্টনারের অবিশ্বাস্য এক প্রতিরোধ।
শেষ ২০ বলে দরকার ছিল ৫৮ রান—এই অবস্থায় স্যান্টনার একাই ঝড় তোলেন। ২৮ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে তিনি হাঁকান ২ ছক্কা ও ৮টি চমৎকার চার। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড, মাত্র ৭ রানে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অষ্টমে নেমে দলকে টেনে নেন কিউই অধিনায়ক। ১৮তম ওভারে ফোর্দের বিপক্ষে এক ওভারে ২৩ রান নেন—এক ছক্কা ও চারটি চার। এরপর হোল্ডারের করা ১৯তম ওভারে প্রথম তিন বলেই তিনটি চার মারেন। শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল; শেফার্ডের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরালেও শেষ পর্যন্ত জয় হাতছাড়া হয় নিউজিল্যান্ডের।
তবে শেষ উইকেটে ডাফিকে সঙ্গী করে ৫০ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে দশম উইকেটে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড গড়েন স্যান্টনার–ডাফি জুটি। সেখানে ডাফির অবদান মাত্র ১ রান!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিং
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সিলস ও চেজ নেন ৩টি করে উইকেট। ফোর্দে, শেফার্ড ও আকিল হোসেন নেন ১টি করে উইকেট। সিলসের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় ক্যারিবীয়দের পক্ষে।
হোপের অর্ধশতকে ভর করে ১৬৪
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ১৬৪ রান। অধিনায়ক শাই হোপ খেলেন ৩৯ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যাতে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।
রোভম্যান পাওয়েল করেন ২৩ বলে ৩৩, রোস্টন চেজ ২৭ বলে ২৮ এবং আলিক আথানাজে ৯ বলে ১৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাফি ও ফকস ২টি করে উইকেট নেন, জেমিসন ও নিশাম নেন ১টি করে।
