সেই মুনতাসির এবার এনসিপি থেকেই বাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:১০, ৫ নভেম্বর ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
দলীয় পদ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপপরিচালকের চাকরি হারানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমকে দোষারোপ করছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ। এবার সেই মুনতাসিরকে দল থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মুনতাসিরকে অব্যাহতি দেওয়া চিঠি প্রকাশ পোস্ট করা হয়।
চিঠিতে মুনতাসিরের উদ্দেশে বলা হয়, ‘গত ১২ অক্টোবর আপনাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ অক্টোবর আপনি লিখিত জবাব দেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে আপনার প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং আগের ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় আপনাকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জনাব আখতার হোসেনের নির্দেশে আপনাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মুনতাসির মাহমুদ রেড ক্রিসেন্টে উপপরিচালক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। উপদেষ্টা মাহফুজের ভাই মাহবুব আলম রেড ক্রিসেন্টের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রেড ক্রিসেন্টে মুনতাসির মাহমুদের চাকরিটি ছিল অস্থায়ী। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়েক দিন ধরে রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাজধানীর মগবাজারে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছিলেন মুনতাসির।
এনসিপির পক্ষ থেকে নিষেধ করার পরও গত ১২ অক্টোবর লোকজন নিয়ে মুনতাসির সেখানে বিক্ষোভ করেন। ওই দিন রেড ক্রিসেন্টের বোর্ড সভায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। বোর্ড সভায় উপদেষ্টার ভাই মাহবুব আলমও ছিলেন। সভার পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে বের হতে গেলে তাকে অবরুদ্ধ করেন মুনতাসির মাহমুদের অনুসারীরা।
তারপর সেদিনই মুনতাসিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও পদ থেকে অব্যাহতির চিঠি ফেসবুকে প্রকাশ করে এনসিপি। এরপরও উপদেষ্টা মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে বিভিন্ন অভিযোগ করছিলেন মুনতাসির।
সর্বশেষ আজ মুনতাসীরকে দল থেকে বহিস্কার করা হলো।
