টিউলিপের রায় শুনতে আদালতে ব্রিটিশ সাংবাদিক করডেলিয়েন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৩৭, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজউকের প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। এদিন টিউলিপের রায়কে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও নজর ছিল আদালতের দিকে। বিশেষ করে ব্রিটিশ স্কাই নিউজের রিপোর্টার করডেলিয়েন্সকে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়, যিনি মূলত টিউলিপ সিদ্দিকের দণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন তৈরির জন্যই বাংলাদেশে এসেছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শেখ রেহানাকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাকি ১৪ আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড ও জরিমানা দেওয়া হয়েছে।
এসময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বাংলাদেশের সাংবাদিকদের করডেলিয়েন্স বলেন, “আদালত টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন, সেটি আমি নোট করেছি।”
বাংলাদেশের আদালতের পরিবেশ কেমন লাগল—এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মামলার পটভূমি
২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করে যে, টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে মা শেখ রেহানা, বোন আজমিনা সিদ্দিক এবং ভাই রাদওয়ান মুজিবের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেন।
তিনজনই ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ পান। তবে টিউলিপ–রেহানার বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগই কেবল এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে আজমিনা ও রাদওয়ানকে অপর দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার মোট আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছেন। একমাত্র কারাবন্দি আসামি খুরশীদ আলমকে রায় ঘোষণার দিন আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ২৭ নভেম্বর প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের সাজা ঘোষণা করেন আদালত।
আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনায় টিউলিপ
বাংলাদেশে দুর্নীতির মামলায় একজন ব্রিটিশ এমপির দণ্ড হওয়ায় বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও স্থান পেয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা হওয়ায় ব্রিটিশ মিডিয়ার চোখ এখন ঢাকার আদালতগুলোর দিকে।
