ভেন্টিলেশন সাপোর্টে খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪২, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণের কারণে সংকটাপন্ন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তার শারীরিক অবস্থা এখনও জটিল এবং অত্যন্ত নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান সোহেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেখানে তিনি জানান, “ম্যাডামকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে। সকলের কাছে দোয়া চাই।” তার কথায়, বর্তমান পরিস্থিতি যে গুরুতর, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এর আগে দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ড. রেজা কিবরিয়ার বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও খালেদা জিয়ার অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুবই অসুস্থ। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসা চলছে। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি—তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।”
গত রবিবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। এরপর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে বলে জানা গেছে। অবস্থার জটিলতা বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই তাকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়, যেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারকে প্রধান করে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছে। এই বোর্ডে চিকিৎসায় যুক্ত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক এবং ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি তার সহধর্মিনী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় যুক্ত রয়েছেন।
পরিবারের সদস্য, দলের নেতাকর্মী এবং বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা অতিক্রম করা কঠিন হলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিএনপি নেতারা ও সমর্থকদের বড় অংশই এখন হাসপাতালের খবরের ওপর নজর রাখছেন এবং সারা দেশে তার সুস্থতার জন্য দোয়া অনুষ্ঠান চলছে।
