সেন্ট মার্টিন থেকে আসার পথে ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু
কক্সবাজার প্রতিনিথি
প্রকাশ: ১৫:৩৮, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে স্পিডবোট ডুবি: মা–মেয়ের মৃত্যু, আহত ৬
প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরে পর্যটকবাহী একটি স্পিডবোট ডুবে মা ও মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে অদূরে গোলারচর সংলগ্ন সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলেন—সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মরিয়ম আক্তার ও তার শিশু কন্যা মাহিমা আক্তার। স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা জরুরি চিকিৎসার জন্য টেকনাফে যাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নৌকা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং মুমূর্ষু অবস্থায় বোটের ৮ যাত্রীর সবাইকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানেই দায়িত্বরত চিকিৎসক মরিয়ম আক্তার ও তার শিশুকন্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নূর ঢাকা পোস্টকে বলেন, “ডুবির ঘটনায় মা ও মেয়ে দুজনই মারা গেছেন। বাকি যাত্রীরা চিকিৎসাধীন। মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।”
এদিকে একই দিনে সকাল থেকে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তিনটি জাহাজে মোট ১১৭৪ জন পর্যটক দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেন। আগামী দুই মাস—৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত—পর্যটকদের জন্য সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপনের সুযোগ থাকবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, টেকনাফ–সেন্ট মার্টিন নৌপথ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। জোয়ার-ভাটা, অতিরিক্ত যাত্রী, নৌযানের সক্ষমতা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন এসব নৌপথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। সোমবারের এই দুর্ঘটনা আবারও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত তদারকি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে আসে।
