সাদ্দাম হত্যা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিলীপ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৫৪, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
গ্রেপ্তার হওয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও আরেক আসামি বাবুল। ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও ও আরেক আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করেন র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্প ও র্যাব-৩-এর সদস্যরা।
র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. নূরনবী জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দিলীপ আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি বাসাবোর একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন বলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাদ্দাম হোসেনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই রাতে শহরের টিএ রোড এলাকায় দিলীপের প্রতিপক্ষ সদর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাকিল সিকদার ওরফে লায়ন শাকিল ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে দিলীপের সমর্থক তিনজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন জন আহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেন নিহতের বাবা মো. মস্তু মিয়া।
শুরু থেকেই মামলার বাদী মোস্তফা কামাল মস্তু অভিযোগ করে আসছেন, তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের সাথে রাজনীতি ও একই সাথে চলাফেরা করতেন। ঘটনারে রাতে দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। দিলীপ তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সাদ্দামকে হত্যা করেছেন।
আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরদিন নিহতের মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
