রেহানার প্লট দুর্নীতি মামলা
রায়ে অসন্তোষ খুরশীদের আইনজীবী, দুদকও হতাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৩৭, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট দুর্নীতি মামলায় সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঘোষিত রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছে দু’পক্ষ— কারাগারে থাকা রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের আইনজীবী এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে ৭ বছর, তার বোন শেখ হাসিনাকে ৫ বছর এবং টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই মামলার বাকি ১৪ আসামিকে দেওয়া হয় পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড।
আসামীদের মধ্যে একমাত্র কারাবন্দি ছিলেন রাজউকের সাবেক কর্মকর্তা খুরশীদ আলম।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় খুরশীদের আইনজীবী শাহীনুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার তিনটি মামলায় খুরশীদ আলমের এক বছর করে সাজা হয়। আজকের মামলার প্রকৃতিও প্রায় একই রকম। আশা করেছিলাম, সাজা হলেও আগের মতোই হবে; কিন্তু পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এ রায়ে তারা ‘অসন্তুষ্ট’ এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রায়ের সময় খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
এই রায়ে দুদকও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
দুদকের কৌঁসুলি খান মো. মাইনুল হাসান লিপন বলেন, “আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা—যাবজ্জীবন কারাদণ্ড—প্রত্যাশা করছিলাম। সেটা হয়নি। কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”
এ মামলার প্রেক্ষাপট
২০২২ সালের শেষ দিকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় শেখ রেহানাকে। বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার পর গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা পরিবারের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।
ইতোমধ্যে চার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায়।
এদিকে শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্য রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর প্লট দুর্নীতি মামলা দুটি এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে—উভয় মামলার আসামিও খুরশীদ আলম।
