জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
সংসদ ভবন এলাকায় সংঘর্ষে ৫ মামলা, ১ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:২৯, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশ ও 'জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর দুটি থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগন থানায় চারটি ও ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় প্রায় ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান চলাকালে জুলাই যোদ্ধাদের একাংশ তাদের তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। দাবি ছিল- রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, শহীদ ও আহতদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং সুরক্ষা আইন ও দায়মুক্তি নিশ্চয়তা বাস্তবায়ন।
একপর্যায়ে শতাধিক বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্লাজায় ঢুকে পড়ে এবং অতিথিদের আসনে বসে পড়ে। নিরাপত্তা সদস্যরা সরিয়ে দিতে চাইলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নেয়। জুলাই যোদ্ধারা মানিক মিয়া এভিন্যুউ সড়কে অগ্নি সংযোগ করে। পুলিশের বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর রাতেই রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় চারটি এবং ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করা হয়।
শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক জানান, "জোরপূর্বক প্রবেশ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ও কন্ট্রোল রুম ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলাগুলো হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, রিমন চন্দ্র বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে ওসি ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, "৩২ নম্বরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।"
শুক্রবারের সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ১০ জন এবং জুলাই যোদ্ধাদের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রতিবাদে 'জুলাই যোদ্ধা সংসদ' নামে সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে, "এই সংঘর্ষ ছিল পুলিশের পূর্বপরিকল্পিত হামলা।" তারা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রবিবার (১৯ অক্টোবর) সারা দেশে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।