ভারতীয় কিংবদন্তি অ্যাডম্যান পীযূষ চলে গেলেন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৩৮, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সময়টা ছিল তিন দশকেরও বেশি আগে—যখন টেলিভিশন ঘরে ঘরে পৌঁছায়নি। তবুও এক সুর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশজুড়ে—“কুছ খাস হ্যায়...”। ক্যাডবেরির সেই বিজ্ঞাপন শুধু চকোলেট বিক্রি করেনি, ছুঁয়ে গিয়েছিল মানুষের আবেগ। আজও সেই সুর অমলিন, সেই বিজ্ঞাপনের ভাবনা আজও অনন্য।
এই অসাধারণ ভাবনার মানুষটি ছিলেন পীযূষ পান্ডে—ভারতের বিজ্ঞাপন দুনিয়ার এক অনন্য আইকন, যিনি ৭০ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন।
পীযূষ পান্ডে বিজ্ঞাপন জগতে পা রাখেন মাত্র ২৭ বছর বয়সে। এরপর একে একে তৈরি করেন এমন সব বিজ্ঞাপন যা বদলে দেয় গোটা শিল্পটিকে। ক্যাডবেরির “কুছ খাস হ্যায়”, পন্ডস-এর “গুগলি উগলি উষ”, ফেভিকলের স্থায়ী বন্ধনের গল্প—সবখানেই ছিল তার অদ্ভুত সৃজনশক্তি।
তার বিজ্ঞাপন শুধু বিক্রির হাতিয়ার ছিল না; ছিল গল্প, সংস্কৃতি ও মানবিকতার প্রতিচ্ছবি। সাধারণ মানুষের আবেগ, মিষ্টি হাসি আর জীবনের ছোটখাটো মুহূর্তগুলোকে তিনি পরিণত করেছিলেন স্মরণীয় শিল্পে।
ওগিলভি ইন্ডিয়ার ক্রিয়েটিভ প্রধান হিসেবে পীযূষ পান্ডে গড়ে তুলেছিলেন বিজ্ঞাপনকে এক নতুন রূপে। তার কলমে ও ক্যামেরায় বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছিল গল্প, হয়ে উঠেছিল সমাজের আয়না।
ফেভিকলের আইকনিক বিজ্ঞাপন যেমন—একটি সাধারণ আঠাকে তিনি মানুষের সম্পর্কের প্রতীকে রূপ দিয়েছেন।
তার কাজই প্রমাণ করেছে—সৃজনশীলতার জন্য ভাষা বা অঞ্চল কোনো বাধা নয়, বরং মন ছুঁয়ে যাওয়া ভাবনাই পারে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে যুক্ত রাখতে।
পীযূষ পান্ডে-র প্রয়াণে ভারতজুড়ে শোকের ছায়া। শুধু বিজ্ঞাপন জগৎ নয়, শিল্প-সংস্কৃতির পরিমণ্ডলও হারাল এক মহান গল্পকারকে, যিনি জীবনের ছোট জিনিসেও খুঁজে নিয়েছিলেন বড় আবেগ।
“কুছ খাস হ্যায়”—এই তিনটি শব্দেই যেন তিনি রেখে গেছেন তার চিরকালীন সত্তা।
