সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য পরিবেশন করতে হবে: উপ-উপাচার্য
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:৫৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
উপ-উপাচার্য ড. শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্য— বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার আহ্বান। ছবি: সমাজকাল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেছেন, সাংবাদিকতার মূল শক্তি হলো তথ্যের সত্যতা। তাই সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হয়ে সঠিক তথ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চবিসাসের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের গুরুত্ব এবং সাংবাদিকতার নৈতিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবিসাস ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য আরও বলেন, “সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। তাদের উচিত সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করে সংবাদ পরিবেশন করা। স্বাধীনতার মৌলিক লক্ষ্য পূরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা রয়েছে, কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে অনেক সাংবাদিক সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবিসাস সভাপতি জানে আলম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ শুভ্র। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
‘গণমুখী সাংবাদিকতার প্রত্যাশা : রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকের দায়-দায়িত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় চাকসু ভবন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহীদ মিনার–প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন উপাচার্য, বিভিন্ন উপ-উপাচার্য, চাকসুর প্রতিনিধিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, “সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সংগঠনকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।”
উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন,“চবিসাসের ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ন্যান্সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের ইতিবাচক ও গঠনমূলক রিপোর্টও প্রকাশ করা উচিত।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন,“বর্তমান সংবাদমাধ্যমগুলো কর্পোরেট প্রভাবে অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। সেই তুলনায় চবিসাস একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মতো, এখানকার সাংবাদিকরা জাতীয় পর্যায়ে ভালো কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শাহাবউদ্দিন নীপু, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তি। অংশ নেন শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, চাকসু ও হল সংসদের নেতারা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরুর পর থেকেই চবিসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
