বুয়েটে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ উন্মোচন
’বুয়েটে নিষিদ্ধই থাকবে লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:১৯, ৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:২১, ৮ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল চত্বরে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) স্থাপন করা হয়েছে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’। শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিকেলে এ স্মৃতিফলক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।
বুয়েটের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (তথ্য) মো. শফিউর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্যের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী আবুল হায়াত, অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান এবং সভাপতি প্রকৌশলী রেজাউল করিম।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর উপাচার্য বলেন, “আবরার ফাহাদ সাহসিকতার সঙ্গে সত্য কথা বলেছিল। নির্ভীকভাবে পানিচুক্তি নিয়ে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছিল বলেই তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আজ যে স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়েছে, এটি কেবল প্রতীক নয়—এটি সত্য, প্রতিবাদ ও দেশপ্রেমের অঙ্গীকার।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের আজ প্রতিজ্ঞা করতে হবে— এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার সামান্যতম পুনরাবৃত্তিও যেন আর কখনো না ঘটে। এটি শুধু প্রশাসনের নয়, শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব। দেশপ্রেম ও ন্যায়ের পথে ভয় না পেয়ে দাঁড়াতে হবে, যেমন আবরার দাঁড়িয়েছিল।”
এ সময় বুয়েটে লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধই থাকবে বলে জানান উপাচার্য। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বুয়েটে লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তা নিষিদ্ধই থাকবে। যেকোনো ব্যানারে এ ধরনের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করা হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেন কোনোভাবে সংগঠিত রাজনীতি বুয়েটের শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে না পারে।
আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আসর বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপাচার্যসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এ সময় আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ ছিলেন বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের ছাত্র। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
