শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

শেখ হাসিনার ৪ ফোনালাপ ফাঁস

আন্দোলনকারীদের ওপর ‘ছত্রীসেনা দিয়ে বোম্বিং নির্দেশের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬:৩০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৩৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্দোলনকারীদের ওপর ‘ছত্রীসেনা দিয়ে বোম্বিং নির্দেশের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ বুধবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪টি ফোনালাপের অডিও বাজানো হয়। এতে জুলাই আন্দোলন দমন করতে তিনি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠে আসে।
সাক্ষ্যে বলা হয়, শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের অবস্থান ড্রোনের মাধ্যমে শনাক্ত করে ছত্রীসেনা ব্যবহার করে হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং ও গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেন। এসব ফোনালাপে আরও শোনা যায়—আন্দোলনকারীদের তালিকা তৈরি করে গ্রেফতার, ‘রাজাকার’ ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি কার্যকর, জঙ্গি প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা এবং সরকারি স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দায় চাপানোর মতো পরিকল্পনার ইঙ্গিত।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আজ সাক্ষ্য দেন মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা। তিনি জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে বিটিআরসি, এনটিএমসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থেকে অডিও ক্লিপ, ভিডিও ফুটেজ, সিডিআর, আইপিটিআর ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনার ৬৯টি কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে, যেখানে আন্দোলন দমন সংক্রান্ত তার নির্দেশনা পাওয়া গেছে।
আজকের শুনানিতে বাজানো চারটি ফোনালাপে শেখ হাসিনা কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির তৎকালীন মেয়র ফজলে নুর তাপস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামাল এবং জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ দেয়া সাক্ষ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এদিন তানভীর জোহাকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনালাপে আন্দোলন দমন নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন। তার দেওয়া এই নির্দেশনাগুলোই মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ হিসেবে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত হচ্ছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন