সীমান্তে ‘কম্ব্যাট অ্যালার্ট’: পাচারের শিকার ১৩ জন উদ্ধার
উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:১৭, ৩ নভেম্বর ২০২৫
মাদক ও মানবপাচার রোধে টেকনাফ সীমান্তজুড়ে ‘কম্ব্যাট অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ বিজিবির বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ক্লাস্টার’ চলছে টানা কয়েকদিন ধরে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার এবং মানবপাচারের শিকার ১৩ নারী, পুরুষ ও শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতভর টেকনাফের জাহাজপুরা ও আশপাশের সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি ধানক্ষেতে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় মানবপাচারের শিকার ১৩ জনকে, যাদের মিয়ানমার সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে ৬০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩৪ লিটার দেশীয় চোলাই মদ জব্দ করা হয়। অভিযানে দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় — তারা হলেন বাহারছড়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের পুত্র মো. আব্দুল্লাহ (৩৫) ও জাহাজপুরার মো. হামিদের পুত্র মো. জয়নাল (২০)।
২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “মাদক ও মানবপাচার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সীমান্ত এলাকায় এখন ‘কম্ব্যাট অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই অপরাধচক্রের শেকড় উপড়ে ফেলতে বিজিবি সর্বোচ্চ প্রস্তুত।”
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে এবং আটক দুই আসামির বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ সীমান্ত ইয়াবা ও মানবপাচারের প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা ও রোহিঙ্গা শিবিরকেন্দ্রিক নেটওয়ার্ক নতুন কৌশলে পাচারকারীদের সক্রিয় করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বিজিবির এই বিশেষ অভিযানকে স্থানীয়রা স্বাগত ও প্রশংসা জানিয়েছেন।
