নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের ‘স্থলমাইন’ বিস্ফোরণ
উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩:৪০, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০১:১০, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। ফাইল ছবি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও ‘স্থলমাইন’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার মাইন বিস্ফোরণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি এক সদস্য আহত হওয়ার পরদিন সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে এবার নিকুছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পরপর দুই দিন স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪২ নম্বর পিলার সংলগ্ন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীন নিকুছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ (বিপি-৪২) এলাকায় বিকট শব্দ শোনা যায়।
স্থানীয় কৃষক আবদুল সালাম বলেন, “আমি কলাবাগানে কাজ করছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে চারপাশ কেঁপে ওঠে। পরে শুনি সীমান্তের ওপারে একটি হাতির চিৎকার। সম্ভবত হাতিটি আহত হয়। পরে হাতিটি মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।"
এর আগে রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি বিওপি এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে আহত হন ৩৪ বিজিবির নায়েক মো. আকতার। বিস্ফোরণে তার ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায় এবং বাম পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়।
রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন জানান, বিস্ফোরণের পর সেনাবাহিনীর ৩০ সদস্যের একটি মাইন ডিসপোজাল টিম সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হয়। তারা ঘুমধুমের রেজু আমতলী বিজিবি ক্যাম্প এলাকা ও পার্শ্ববর্তী সীমান্ত পিলার-৪০ সংলগ্ন স্থানে পরিদর্শন এবং একটি পরিত্যক্ত হ্যান্ড গ্রেনেড ও মর্টার শেল পরীক্ষা করে।
স্থানীয়রা বলেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি মিয়ানমারের ভেতরে সংঘর্ষ, গুলিবিনিময় ও স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়ে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুল হক বলেন, “এ ধরনের (স্থলমাইন বিস্ফোরণ) খবর এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পাইনি। বিস্তারিত তথ্য পেলে জানানো হবে।”
তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেছে।