রেড অ্যালার্ট জারি
তিস্তায় পানি বিপৎসীমার ওপর
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:১৪, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নীলফামারী জেলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৬টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে, যা ১২ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছেছে। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি এবং বাঁধে ভাঙনের কারণে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম এবং চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন খেত তলিয়ে গেছে এবং বিভিন্ন বাড়িঘরে পানি উঠেছে।
পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিস্তার ডান তীরের কালীগঞ্জ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাশ পাইলিং এবং বালির বস্তা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খোলা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, রবিবার রাত ৮টায় পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে।
পানি উচ্চতার পরিসংখ্যান (৫ অক্টোবর)
সময় পানি উচ্চতা (মিটার) বিপৎসীমা থেকে পার্থক্য
সকাল ৬টা ৫১.৪৩ ৪৩ সেন্টিমিটার নিচে
সকাল ৯টা ৫১.৪৮
দুপুর ১২টা ৫২.০০
বিকেল ৩টা ৫২.১৪
সন্ধ্যা ৬টা ৫২.২৮ ১৩ সেন্টিমিটার ওপ