বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের, আহত ৬
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:০২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৫:২৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ছয়জন।
নিহতদের মধ্যে দুজন সদর উপজেলার এবং একজন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং বাকি তিনজনকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টির সময় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (১৭) এবং দুলালের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৯) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩) বজ্রপাতে মারা যায়।
আহতদের মধ্যে রয়েছ সদর উপজেলার লাউথুতি গ্রামের রিনা বেগম (৩৮), ফারুক (২২) এবং একজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক, বালিয়াডাঙ্গীর ফুলতলা গ্রামের ফয়সাল (৮), কালিবাড়ীর রিমান (১০) ও সাকিবুল হাসান (১০)।
সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুখানপুকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
স্থানীয়রা জানায়, লাউথুতি গ্রামে ভূল্লী নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়েন মনির ও আরিফুল। ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, “সদরের তিনজন আহতকে আমরা ভর্তি করেছি। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে বালিয়াডাঙ্গীর আতাউর রহমান হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।”
বজ্রপাতে হতাহতের এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।