রপ্তানিকারকদের ৬ দফা দাবি
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনে ক্ষদতি ১২ হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৪৯, ২০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি ছয় দফা দাবি তুলে ধরে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
ইএবি ও বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এই অগ্নিকাণ্ডে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, দেশের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ইতোমধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ঢাকায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে—যা রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
তিনি জানান, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন ডলার (১২ হাজার কোটি টাকা)। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ইএবি’র ছয় দফা দাবি:
১️.ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা প্রদান।
২️.বিমাবিহীন পণ্যের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন।
৩️. কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪️.ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন।
৫️.নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ।
৬️.গুদাম ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও প্রযুক্তিনির্ভর করা।
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়। বিমানবন্দর ফায়ার সেকশন, বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিটসহ ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট সম্মিলিতভাবে আগুন নেভানোর কাজ চালায়। সাত ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, আর ২৬ ঘণ্টা পর (রবিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে) পুরোপুরি নির্বাপণ করা হয়।
রপ্তানিকারক মহল মনে করছে, এ ধরনের দুর্ঘটনা শুধু পণ্যের ক্ষতি নয়—বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য, ক্রেতা আস্থা এবং জাতীয় ভাবমূর্তির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।