ট্রাম্পের বিমানের ২০০ গজের মধ্যে ‘স্নাইপার’ ঘাঁটি?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৪৫, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে ফের নিরাপত্তা আতঙ্ক। ফ্লরিডার পাম বিচ বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে গাছের ওপর পাওয়া গিয়েছে এক সন্দেহজনক কাঠামো, যা মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, স্নাইপার বন্দুকবাজদের ব্যবহৃত ঘাঁটির মতোই। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এফবিআই ও সিক্রেট সার্ভিস ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাম বিচ বিমানবন্দরের পাশে একটি গাছে পাইপ ও কাঠ দিয়ে তৈরি একটি কাঠামো দেখতে পান সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা। সেই স্থান থেকে ট্রাম্পের এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান ওঠানামার দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যায়। কাঠামোটির অবস্থান ও গঠন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দূর থেকে গুলি চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
তবে এখন পর্যন্ত কোনও অস্ত্র বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সেই এলাকায় পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা বলছেন, সেটি হয়তো শিকারিদের অস্থায়ী পোস্টও হতে পারে, কিন্তু প্রেসিডেন্টের বিমানের এত কাছে এমন স্থাপনা পাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এফবিআই প্রধান কাশ পাটেল ফক্স নিউজকে জানান, “সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পের ফেরার আগেই কাঠামোটি শনাক্ত করেন। প্রথম নজরে সেটি শিকারিদের ব্যবহার করা কোনো টাওয়ারের মতো মনে হলেও আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।”
এখন এফবিআই সেই এলাকা থেকে ফরেনসিক প্রমাণ ও নজরদারি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশের ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে, এবং প্রেসিডেন্টের যাতায়াতের সময় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়ার জনসভায় ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। তখন বক্তৃতা চলাকালীন বন্দুকবাজ তার মাথার দিকে গুলি চালায়, যা কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। পরে সিক্রেট সার্ভিস ঘটনাস্থলেই বন্দুকবাজকে গুলি করে হত্যা করে।
এর পরেও পাম বিচ গলফ কোর্সে এক সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যিনি প্রেসিডেন্টকে টার্গেট করার উদ্দেশ্যে সেখানে প্রবেশ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এই নতুন ঘটনায় তাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ফের সতর্ক অবস্থানে।
২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের রাজনৈতিক কার্যক্রম তুঙ্গে, আর তাতেই বাড়ছে তার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র ও হামলার আশঙ্কা। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিমান ও ব্যক্তিগত চলাচলের প্রতিটি রুটে এখন থেকে দ্বিগুণ গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।