সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

জনতা ব্যাংকের ১১৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ 

সাবেক গভর্নর আতিউর ও বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১৯:২১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সাবেক গভর্নর আতিউর ও বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাতসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক তানজীর আহমেদ সোমবার (২০ অক্টোবর) জানান, মামলার তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে দায়মুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে—যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র ও শর্ত শিথিল করে অ্যাননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সুদ ও আসলসহ সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

অভিযোগপত্রে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত, অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, সাবেক নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুছ ছালাম আজাদ, আজমুল হক, অজয় কুমার ঘোষ, গোলাম আজম, মো. শাহজাহান, এমদাদুল হক, গোলাম ফারুক, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দিপু, ড. আর এম দেবনাথ, সঙ্গীতা আহমেদ, অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাগ, কে এম সারওয়ার রশীদ, আহমেদ শাহনুর হোসেন, ইফতিখার উজ জামান, এ কে এম আশরাফ উদ্দিন খান এবং মো. গোলাম সারোয়ার।

এই মামলাটি ব্যাংকিং খাতের অন্যতম বড় অর্থদুর্নীতির অভিযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জনতা ব্যাংক থেকে বিশাল অঙ্কের এই ঋণ বিতরণে শর্ত শিথিল, তদারকি ব্যর্থতা এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়িক চক্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে দুদকের আনুষ্ঠানিক চার্জশিট অনুমোদন এলো।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন