মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

ষড়যন্ত্রের শঙ্কায় জানুয়ারিতেই নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১:৪৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:০৭, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ষড়যন্ত্রের শঙ্কায় জানুয়ারিতেই নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

ছবি: সংগৃহীত

আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির অভিযোগ, নির্বাচনের সময় যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র ও অস্থিতিশীলতা তত বাড়বে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন এই দলটি মনে করে, নির্বাচন বানচালের জন্য দেশে এক শ্রেণির রাজনৈতিক গোষ্ঠী অগ্নিসংযোগ ও অঘটনের মাধ্যমে আরেকটি ‘এক-এগারো’ পরিস্থিতি তৈরি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জিলু খান প্রমুখ।

রাশেদ খান বলেন, “নির্বাচন বানচালের জন্য সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের পেছনে আছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করার চক্রান্ত চলছে। তাই বিলম্ব না করে আগামী জানুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় জুলাই সনদ ইতোমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করে এর আইনগত ভিত্তি দিতে হবে।”

রাশেদ খান অভিযোগ করেন, “বর্তমান প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা অনিয়মে জড়িত ছিলেন—তাদের মধ্যে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ইসি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন পরিবর্তন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, “নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতে হবে যে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোট আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুখপাত্র হাসান আল মামুন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বারবার অগ্নিকাণ্ড ঘটছে—এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডসহ এসব ঘটনায় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ জাতীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে এবং জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।”

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন