নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতে ইসলামীর
”তার কাছে এই ধরনের বালখিল্য বক্তব্য জাতি আশা করে না”
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৮, ২০ অক্টোবর ২০২৫

“জামায়াতে ইসলামীর কথিত ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) আন্দোলন’ একটি সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়”- জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টে করা এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর দাবি করে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের রবিবার (১৯অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান। রাত ১১টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজে এই প্রতিবাদ সম্বলিত বিবৃতি তুলে ধরা হয়।
‘নাহিদ ইসলামের ফেসবুক স্ট্যাটাসের অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ’ শীর্ষক বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম দাবি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির সমালোচনা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। জামায়াতে ইসলামীর পিআর দাবির আন্দোলনকে প্রতারণামূলক ও রাজনৈতিক কৌশল বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা ও দুঃখজনক। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে কী বুঝাতে চাচ্ছেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তার কাছে এই ধরনের বালখিল্য বক্তব্য জাতি আশা করে না।"
তিনি আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবিতে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এবং রাজপথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার দৃঢ় অবস্থান জনগণের সামনে তুলে ধরেছে। কাজেই জনাব নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের যৌক্তিক কোনো ভিত্তি নেই।
”আমি জনাব নাহিদ ইসলামকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি”- বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কথিত ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) আন্দোলন’ একটি সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারপ্রক্রিয়া এবং জাতীয় সংলাপকে গণ–অভ্যুত্থানের আলোকে সংবিধান ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রকৃত প্রশ্ন থেকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এটা (পিআর আন্দোলন) তোলা হয়েছে।
সংবিধানের একটি সুরক্ষা হিসেবেই ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মৌলিক সংস্কারের অন্যতম দাবি ছিল উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এ ধরনের মৌলিক সংস্কার এবং বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো তৈরি করার জন্য একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জামায়াত এবং তার সহযোগীরা এটা ছিনতাই করেছে, তারা একে একটি কাঠামোগত পিআর বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে এবং এটাকে তাদের ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দর–কষাকষির একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।’