সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৪ কার্তিক ১৪৩২

জবি ছাত্রদল নেতা খুন, পুরান ঢাকায় ও ঢাবিতে বিক্ষোভ 

জবি ও ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৫৯, ২০ অক্টোবর ২০২৫

জবি ছাত্রদল নেতা খুন, পুরান ঢাকায় ও ঢাবিতে বিক্ষোভ 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে। একই ঘটনায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় জবি শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করেছেন।

ঢাবিতে রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর ও হলপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে টিএসসির ডাস চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “জুবায়েদ হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দেশের শিক্ষার্থীরা খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দ্রুত বিচার ছাড়া আমাদের বিক্ষোভ থেমে থাকবে না।”

সমাবেশে কবি জসিমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামীম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দেখেছি, সাম্য (শাহরিয়ার আলম সাম্য) হত্যার বিচার পাইনি। পারভেজ হত্যাকাণ্ডের বিচারও হয়নি। সুতরাং আমরা আশঙ্কা করছি, জুবায়েদ হত্যাকাণ্ডের বিচারও হয়তো একইভাবে আড়ালে হারিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অতি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।’

এদিকে জোবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় বিক্ষোভ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর রাত ১১টার দিকে জোবায়েদ হত্যার বিচারের দাবিতে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান বলেন, ‘জোবায়েদ আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মারা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতা আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করেছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জোবায়েদ হত্যার প্রায় ছয় ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জোবায়েদ হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সড়ক ছাড়ব না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জোবায়েদ হত্যার বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এসেছে তদন্ত করার জন্য। পিবিআই রিপোর্ট দেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের একটি বাসায় তিনি টিউশনি করতেন। থাকতেন ফরাশগঞ্জের একটি মেসে। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন