যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে কোরআন মুখস্থ কর্মসূচি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:৪০, ২০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৪৪, ২০ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ম্যাসন শহরের আইসিএম লার্নিং একাডেমি স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য কোরআন মুখস্থ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক কিথ বিয়ারি গোলিক সম্প্রতি স্কুলটি পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কোরআন মুখস্থ কর্মসূচি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদাম জিন্দানি শুরুতে কোরআন মুখস্থ করতে অনিচ্ছুক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সে পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে ফেলে। এতে তার সময় লেগেছে তিন বছর। আদাম বলেন, ‘মুখস্থ করা কঠিন নয়। কিন্তু মুখস্থ করার পর তা মনে রাখা কঠিন।’
স্কুলের শিক্ষক ফওজান হানসবাই বলেন, ‘কেউ কেউ এটি মুখস্থ করতে কয়েক বছর সময় নেয়, আবার কারও কারও খুব অল্প সময় লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোরআন মুখস্থ করা আমাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের অংশ। এটি হৃদয়ে সংরক্ষিত থাকে, তাই মুখস্থকারীরা প্রতিটি অক্ষর ও শব্দের পাহারাদার।’
এই স্কুলের সূচনা মূলত আদামের মা আনিলা জিন্দানির হাত ধরে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যাতে কোরআন শিখতে পারে, সেজন্য আশপাশে কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাইনি। তাই আমি নিজেই কোরআন শেখানো শুরু করি।’
বর্তমানে সেই ছোট উদ্যোগই পরিণত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ চার্টার স্কুলে। এখানে গণিত ও সামাজিক বিজ্ঞানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কোরআন পাঠ ও হিফজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। স্থানীয় ইমাম ইয়াহইয়া হানসবাইও এখানে শিক্ষকতা করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নতুন একটি ১২ মিলিয়ন ডলারের মসজিদ ও প্রশস্ত নামাজঘরসহ অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। তারা এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিউনিটি সেন্টারে রূপ দিতে চান।
আনিলা জিন্দানি বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু সবচেয়ে আনন্দের কাজ। যখন আমি শিক্ষার্থীদের দেখি, মনে হয় যেন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
সর্বোপরি, ওহাইওর এই ইসলামিক স্কুলটি যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় শিক্ষার বিকাশে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।
সূত্র : ডব্লিউসিপিও ডটকম