সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্মান করছে হামাস, ট্রাম্প জামাতা কুশনার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:৪১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্মান করছে হামাস, ট্রাম্প জামাতা কুশনার

ট্রাম্প ও তার জামাতা কুশনার

গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলছে মৃত জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জেরাড কুশনার বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাস বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্মান করছে এবং “সৎ উদ্দেশ্যে” মরদেহগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সিবিএস টেলিভিশনের এক আলোচনায় কুশনার বলেন, “আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে না। বরং তারা মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় মরদেহগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।”
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর উদ্ধার হওয়া ২৮ জিম্মির মরদেহের মধ্যে এখনও ১৬ জনের মরদেহ গাজার ভেতরেই রয়ে গেছে।

হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে এখন অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, তাই উদ্ধারকাজে সময় লাগছে। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, অধিকাংশ মরদেহ হামাসের হেফাজতেই রয়েছে এবং “চাইলেই তা ফেরত দেওয়া সম্ভব।”

এই পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়ে কুশনার বলেন, “ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। ইসরায়েল যে তথ্য দিচ্ছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের কাছে পাঠানো হচ্ছে যাতে মরদেহগুলো দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা যায়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “একে অপরকে দোষারোপ না করে উভয় পক্ষকে দায়িত্বশীলভাবে সমাধানের পথে আনতে চেষ্টা করছি আমরা।”
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে রবিবার গাজায় ফের ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

আল জাজিরা জানায়, খান ইউনিস এলাকায় পরপর একাধিক বিমান হামলায় আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, নিহতদের অধিকাংশই শিশু।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, “আমাদের সেনাদের ওপর হামলার জন্য হামাসকে ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে।” তবে হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন”।

গাজার নুসাইরাত, খান ইউনিস, রাফাহ ও আল-জাওয়াইদা এলাকায় হামলায় বহু হতাহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। আল-আওদা হাসপাতাল জানিয়েছে, আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের এক কমান্ডারসহ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল সরকার ঘোষণা করেছে, তারা পুনরায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করবে। তবে পরিস্থিতি যে এখনো অস্থির, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা স্পষ্টই বলছেন।

জেরাড কুশনারের ভাষায়, “হামাস এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিকে সম্মান করছে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতা হলো— পরিস্থিতি মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে।”

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন