সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

রাশিয়ার গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

প্রকাশ: ১২:৪৭, ২০ অক্টোবর ২০২৫

রাশিয়ার গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

ছবি: ডেইলি টাইমস

রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একের পর এক জ্বালানি স্থাপনায় ড্রোন হামলায় নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার সামারা অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগার এবং ওরেনবার্গ প্রদেশের একটি বৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার সকালে এক বিবৃতিতে দাবি করে, তারা রাতভর চলা হামলায় মোট ৪৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে—এর মধ্যে ১২টি সামারায়, ১১টি সারাতোভে এবং একটি ওরেনবার্গ অঞ্চলে।

ওরেনবার্গের গভর্নর ইয়েভগেনি সোলন্টসেভ জানিয়েছেন, আঘাতের ফলে স্থানীয় গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের একটি ওয়ার্কশপ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও কাজাখস্তান থেকে ওরেনবার্গে গ্যাস সরবরাহ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

এটি রাশিয়ার অন্যতম বড় গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, যেখানে রুশ ও কাজাখ গ্যাস একত্রে ঘনীভূত করা হয়।

গত আগস্ট থেকে ইউক্রেন ধারাবাহিকভাবে রাশিয়ার তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যাল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য রুশ জ্বালানি সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটানো, যাতে মস্কোর যুদ্ধযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে ওরেনবার্গে এবারই প্রথম ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

মস্কো এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার পাল্টা পদক্ষেপ ঘোষণা করেনি, তবে ক্রেমলিন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে যে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় ‘উত্তরোত্তর প্রতিক্রিয়া’ আসতে পারে।

অন্যদিকে, কিয়েভের সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, “রাশিয়ার তেল ও গ্যাস অর্থনীতি যুদ্ধ চালানোর প্রধান ইঞ্জিন। তাই এই কেন্দ্রগুলোতে আঘাত মানে যুদ্ধক্ষেত্রে চাপ তৈরি করা।”

শনিবার রাতের হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবু রাশিয়ার অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান এ ধরনের হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে—যুদ্ধ এখন ইউক্রেনের সীমানা পেরিয়ে রুশ অর্থনীতির হৃদয়ে প্রবেশ করছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন