শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

বিশ্বকাপ ফুটবলে ইসরায়েলকে রাখার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:১৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বকাপ ফুটবলে ইসরায়েলকে রাখার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র

 

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন রাজনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্রীড়া নিষেধাজ্ঞার দাবি জোরদার হলেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কারের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “আমরা নিশ্চিতভাবে কাজ করব যেন ইসরায়েলের জাতীয় ফুটবল দলকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়।”
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ টুর্নামেন্টকে ঘিরে ওয়াশিংটন কূটনৈতিকভাবেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।

ইউরোপীয় চাপ ও জাতিসংঘের রায়
এদিকে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা (UEFA)-তে ইসরায়েল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চাপ বাড়ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক তদন্ত কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে উয়েফার ২০ সদস্যের নির্বাহী কমিটির অধিকাংশই ইসরায়েলকে বহিষ্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে এপি জানিয়েছে।

রাশিয়া বনাম ইসরায়েল বিতর্ক
সমালোচকরা বলছেন, ফুটবল সংস্থাগুলোর অবস্থান অগ্রহণযোগ্যভাবে দ্বৈত মানদণ্ড তৈরি করছে। কারণ ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়াকে দ্রুতই উয়েফা ও ফিফা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু বহু যুদ্ধাপরাধ ও জাতিসংঘ ঘোষিত গণহত্যার পরও ইসরায়েল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলতে পারছে।

স্পেনের কড়া অবস্থান
ইতিমধ্যে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা দিয়েছেন, “যতদিন পর্যন্ত এই বর্বরতা চলবে, ততদিন রাশিয়া ও ইসরায়েল—কোনো দেশকেই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেখা উচিত নয়।” তার এই মন্তব্য ইউরোপে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে আরও তীব্র করেছে।

আগামী সপ্তাহেই এ বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটে কী সিদ্ধান্ত হবে তা এখনো অনিশ্চিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট—ইসরায়েলকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়ার সুযোগ তারা দেবে না। এর ফলে খেলাধুলা, কূটনীতি ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বিশ্ব মঞ্চে নতুন করে বিতর্ক জোরদার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন