আ.লীগ, জাপা ও ১৪ দল ছাড়া নির্বাচনে যাচ্ছি না: কাদের সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২:৫১, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:২৩, ১১ নভেম্বর ২০২৫
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঘোষণা দিয়েছেন—আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হলে তিনি কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, ভাসানীর আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ ও ভোটারদের আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে যাব না। আমি মুক্তিযোদ্ধা, জয় বাংলা বলেই মুক্তিযুদ্ধ করেছি।’
সোমবার (১০ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল হাইস্কুল মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৬ বছর মানুষকে অত্যাচার-জুলুম করেছে। কম অত্যাচারে মানুষ তাকে তাড়ায়নি। তার আমলে নৌকাওয়ালারা যত চাঁদা তুলেছে, গত ১৪ মাসে তার ১০ গুণ অন্য দলগুলো তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, সেভাবেই বিএনপিও টিকতে পারবে না। কারণ এখন ধানের শীষ মানুষের পেটের বিষ হয়ে গেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তারা যদি এককভাবে নির্বাচনে যায়, পাঁচটির বেশি আসন পাবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে অপরাধ করেছে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা না চাইলে তারা কখনো দেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দাবি ও অধিকার আদায়ে লড়াই করা যায়, কিন্তু বিশৃঙ্খলা নয়। এখন দেশে বিশৃঙ্খলা চলছে। রাষ্ট্রের প্রধানও নিজের বাড়ি রক্ষা করতে পারছেন না— তাহলে তিনি ১৮ কোটি মানুষকে কীভাবে নিরাপত্তা দেবেন?’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন বিএনপি বা জামায়াত ঘটায়নি; আমি বিশ্বাস করি, এটা আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। তিনি মানুষকে ভোট দিতে দেননি, এই সরকারও দেবে না।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যখন শেখ হাসিনা আপনাকে সুদখোর বলেছিলেন, আমি তখন আপনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি না দাঁড়ালে গ্রামীণ ব্যাংক মাটিতে মিশে যেত। ভবিষ্যতেও শুধু ব্যাংক নয়, গ্রামীণ নামে যা কিছু আছে, তারও বিপদ আছে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান। বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক হিটলু, উপজেলা সভাপতি আবদুস ছবুর, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, ছানোয়ার হোসেন মাস্টার, দুলাল হোসেন মাস্টার, আশিক জাহাঙ্গীর ও আলমগীর সিদ্দিকী প্রমুখ।
