শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫৭, ৮ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনমুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ ও মিছিল করেছে গণসংহতি আন্দোলন। সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, “শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য আমাদেরকে এখনই সোচ্চার হতে হবে। আমরা জানি না, ফ্লোটিলায় থাকা কর্মীদের কোথায় এবং কীভাবে আটক রাখা হয়েছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা নিতে হবে।”
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার ইস্কাটনের বিয়ামের গলির মাঠে আয়োজিত এই সংহতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাসলিমা আখতার বলেন, “গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যায় ইতিমধ্যে ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০ হাজারেরও বেশি শিশু মারা গেছে। লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন। এই সময়ে শহিদুল আলম ও রুহি লোরেনের মতো মানবতার কণ্ঠস্বরেরা গ্লোবাল ফ্লোটিলা নিয়ে ফিলিস্তিনে যাচ্ছিলেন—তাদের অপহরণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”
তিনি আরও বলেন, “এর আগে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার শহিদুল আলমকে কারারুদ্ধ করে নির্যাতন করেছিল। এবার ফিলিস্তিনের মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর অপরাধে তিনি ইসরায়েলের বন্দি। তার মুক্তির দাবি আজ বাংলাদেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিকের দাবি।”
তাসলিমা আখতার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলোর ভণ্ডামির সমালোচনা করে বলেন, “তারা ভান করছে যে যুদ্ধ থামাতে চায়, অথচ বাস্তবে তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিকে দমন করছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তোলা আজ মানবতার দায়িত্ব।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, যিনি বলেন, “সারা পৃথিবীর মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে রাস্তায় নেমেছে। শহিদুল আলমের প্রতিবাদ আমাদের অনুপ্রেরণা।”
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নাসিমা, সমগীতের সাবেক সভাপতি রেবেকা নীলা, প্রতিবেশ আন্দোলনের আবদুল্লাহ নাদভী, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন, আমিনুল ইসলাম, আবদুল কাদের, লুতফুন্নাহার সুমনা, আশরাফুল আলম সোহেল, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খালেদ হোসাইন, এবং অন্যান্য নেতাকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
শেষে সমাবেশ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে ইস্কাটন-মগবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
