বাড়তে পারে সার কারখানায় গ্যাসের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৩৪, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:০৮, ২১ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ছবি: সংগৃহীত
পেট্রোবাংলা ও গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গত ৬ অক্টোবর গণশুনানিতে সার কারখানায় প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৬ থেকে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। এরপর প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বিইআরসি রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। সেখানেই জানা যাবে গ্যাসের দাম বাড়ছে কিনা।
গণশুনানির সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেছিলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণে সব দিক বিবেচনা করে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, দাম বৃদ্ধি হলে সারের উৎপাদন খরচের বিষয়ে জনগণ চিন্তিত হবে। কৃষিকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে, কারণ খাদ্যের নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এলএনজি আমদানির খরচও বিবেচনায় রাখা হবে।
পেট্রোবাংলা জানায়, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি ৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করে সারে সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। অক্টোবর-মার্চে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট পূর্ণমাত্রায় গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে। এপ্রিল-মে ১৬৫ মিলিয়ন, জুনে ১৭৫ মিলিয়ন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বরে ১৩০ মিলিয়ন হারে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
গণশুনানিতে বিসিআইসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে একইভাবে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলা হলেও, বাস্তবে সরবরাহ কম ছিল। তবে পূর্ণমাত্রায় গ্যাস পাওয়া গেলে বছরে ২০ লাখ টনের বেশি সার উৎপাদন সম্ভব হবে। ২০ লাখ টন উৎপাদন হলে গ্যাসের দাম ৩০ টাকায় হলেও আমদানির তুলনায় সারের উৎপাদন খরচ কম হবে।
বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের উৎপাদনে খরচ পড়ছে প্রায় ৩৮ টাকা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়, বিসিআইসি ডিলারদের কাছে ২৫ টাকায়। এতে প্রতি কেজিতে ১৩ টাকার ট্রেড গ্যাপ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
