সকল রাজনৈতিক দলকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান সিইসির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৭, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন / ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, একটি সুন্দর নির্বাচন সব দলেরই অঙ্গীকার, আর নির্বাচন কমিশনও দেশের মানুষকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমিশনের প্রত্যাশা, সব দল এই বিধি মানতে এবং তাদের অঙ্গীকার বজায় রাখতে প্রস্তুত থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি, যার প্রাথমিক শর্তই হলো নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা।”
সিইসি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আরও বড়। তিনি বলেন, “দলগুলো যদি আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তবে কমিশনকে বাড়তি চাপ নিতে হয় না। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য। আশা করি, দলগুলো তাদের কর্মীদের মাধ্যমে ভোটারদের উৎসাহিত করবে।”
সিইসি জানান, শপথ নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছিল। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের (ইআরএসসি) কাজ চলমান থাকায় পূর্ণাঙ্গ সংলাপ শুরু করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। কমিশনের কাজ শেষ হওয়ার পরই এই আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সব রাজনৈতিক দলই জাতির কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
নির্বাচনী আচরণবিধি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াটিও বর্ণনা করেন সিইসি। তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও দলগুলোর মতামত পর্যালোচনার ভিত্তিতে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আচরণবিধি তৈরি করা বড় কাজ নয়, মূল বিষয় হলো এর যথাযথ প্রতিপালন।”
সিইসি নাসির উদ্দিন ভোটারদের ভোট-বিমুখতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “গত ১০–১৫ বছরে ভোটারদের মধ্যে যে ভোট-বিমুখতা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে রাজনৈতিক নেতাদের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন। জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূল পর্যায়ের যারা সরাসরি যুক্ত, তাদের ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখতে হবে। এতে মানুষ ব্যাপকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে।”
তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রার্থীরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। অতীতেও আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দল, ভোটার, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করলে জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। এই লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা চাই।”
