দৌলতপুরে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৩৫, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৫১, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মাঝে গ্রেফতারকৃত শামীম। ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার অন্যতম শ্যুটার শামীম (২০)–কে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি ও দৌলতপুর থানা পুলিশের যৌথ টিম। মঙ্গলবার বিকেলে বিশেষ গোয়েন্দা অভিযান চালিয়ে ফিলিপনগর হাইস্কুল বাজার এলাকা থেকে তাকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মহাব্বত আলী এবং দৌলতপুর থানার ওসি সোলায়মান শেখ।
আটক শামীম হাইস্কুল মসজিদপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি, সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অপহরণে সক্রিয় ‘গিট্টু সোহাগ বাহিনী’-র সদস্য ও শ্যুটার হিসেবে কাজ করে আসছিল।
২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে। এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকবিরোধী অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সন্ত্রাসীদের টার্গেটে ছিলেন।
ঘটনার পরদিন নিহত চেয়ারম্যানের ছেলে আহসান হাবীব কনক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়; আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত করা হয় ৮–১০ জনকে।
পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে ‘গিট্টু সোহাগ বাহিনীর’ সোহাগ ইসলাম, রওশন, রাসেল, লালন, নাঈম, রেন্টু, আল আমিন, হিমেল, ইরাকসহ বহুজনের নাম। এদের কয়েকজন জামিনে বেরিয়ে আবারও এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাসী চক্রটি—অপহরণ,দোকানপাটে চাঁদা দাবি, হত্যা মামলার সাক্ষীদের হুমকি, চরাঞ্চলে রাখাল ও কৃষকদের বাধা প্রদান, জামিনে এসে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া।এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিআইডি পরিদর্শক মহাব্বত আলী বলেন,“গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শামীমকে ফিলিপনগর বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহারে তার নাম না থাকলেও তদন্তে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
দৌলতপুর থানার ওসি সোলায়মান শেখ জানান,“সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলা সিআইডি তদন্ত করছে। তাদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে।”
