অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দাবি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৪২, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: সংগৃহীত
মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোরের কাগজ–এর অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয় থেকে নিয়ে যায়—এমন খবর প্রকাশিত হয়। তবে একই ঘটনার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। তারপরও একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আমার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে—এটা অনভিপ্রেত ও অপব্যাখ্যা।”
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক সোহেল বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তবুও একটি স্বার্থান্বেষী মহল অসত্য তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তার ভাষায়, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়মিত কাজ করে। এখানে আমার সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কিছু ব্যক্তি আমার কাছ থেকে সুযোগ–সুবিধা নিতে না পেরে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিজানুর রহমান সোহেলকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, “সাংবাদিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও এ ধরনের প্রোপাগান্ডা মুক্ত মত প্রকাশের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পরিপন্থী।”
শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি করা থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
“এ ধরনের অসত্য প্রচার মানুষকে বিভ্রান্ত করে। তাই আশা করি কেউ আর এ ধরনের অপপ্রচারে কান দেবেন না,”—বলেন তিনি।
