৪৪৪ বর্গকিলোমিটারের কুরাসাও বিশ্বকাপে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪৮ দলের বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি করলো কুরাসাও। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়ার কারণেই একের পর এক ইতিহাসের স্বাক্ষী হচ্ছে ফুটবলবিশ্ব। কদিন আগেই জনসংখ্যার হিসাবে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ কেপ ভার্দে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে। এবার ৪৮ দলের বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি করলো কুরাসাও। প্রথমবারের মতো উত্তর আমেরিকার এই দেশকে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো দেশ হিসেবে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে হ্যামিল্টনে বারমুডাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে এক পা দিয়েই রেখেছিল কুরাসাও। আজ ১৯ নভেম্বর জ্যামাইকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পৌঁছে যায় কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশটি।
কুরাসাওয়ের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার এবং আয়তন মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার। কুরাসাওয়ের আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে আয়তনের দিক থেকে আরেক ছোট দেশ কেপ ভার্দে। যার আয়তন ৪হাজার বর্গকিলোমিটার।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে কুরাসাও কনক্যাকাফ অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে শেষ করেছে। ছয় ম্যাচে তাদের ৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জ্যামাকার পয়েন্ট ১১।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে কুরাসাও। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা বারমুডার বিপক্ষে ৩-২ এবং তৃতীয় ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায়।
চতুর্থ ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে কুরাসাও। এরপর বারমুডাকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর জ্যামাইকার বিপক্ষে ড্রয়ে স্বপ্ন স্পর্শ করে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশটি।
কুরাসাও দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে, ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত। অবশ্য ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পাশে হলেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটি মূলত দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। একটি হলো কুরাসাও মূল দ্বীপ এবং অন্যটি জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’।
কুরাসাওকে বিশ্বকাপে পৌঁছে দেওয়ার প্রধান দুই নায়ক কোচ ডিক অ্যাডভোকাট ও ফরোয়ার্ড জেরভেন কাস্টনিয়ার। এর আগে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডের মতো ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন কোচ অ্যাডভোকেট। আর ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বাছাইপর্বের পাঁচটি ম্যাচে ৫ গোল করেছেন।
