মিয়ানমারের জলসীমায় তিন ট্রলারসহ ১৬ জেলে আটক
টেকনাফ-উখিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:০০, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:০১, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের জলসীমা। ছবি: সংগৃহিত
মিয়ানমারের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ মোট ১৬ জন জেলেকে আটক করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। আটক জেলেদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গা যুবকরাও। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় টেকনাফ কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকিরের মালিকানাধীন একটি ট্রলার আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়। ওই ট্রলারে থাকা ৬ জন রোহিঙ্গা যুবককে পুরো ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যায় তারা।
অপরদিকে, আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাকি দুটি ট্রলারে আরও ১০ জন জেলে ছিলেন—যাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। বোট মালিক সমিতি জানায়, সবাইয়ের পরিচয় নিশ্চিত করতে জরুরি যোগাযোগ চলছে।
এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌযান সীমান্ত অতিক্রম ঠেকাতে ‘আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি পেট্রোল’ নিয়মিত টহল জোরদার করেছে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়—১৮ নভেম্বর সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে মংডু টাউনশিপের থাওয়াইং চাউং গ্রামের পশ্চিম উপকূল থেকে ২.৭ কিলোমিটার দূরে একটি ট্রলারসহ ছয় বাংলাদেশি জেলে আটক করা হয়। ট্রলার থেকে মাছ ধরার জাল, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
একই দিনে রাথেডং টাউনশিপের উপকূল থেকে ৩.৫৮ কিলোমিটার দূরে আরও দুটি ট্রলারসহ ১০ জেলেকে আটক করে আরাকান নিরাপত্তা বাহিনী। এখান থেকেও মাছ, জাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, মোট তিনটি ট্রলার, ১৬ জেলে ও জব্দকৃত সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আরাকান অঞ্চলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় জলসীমা অতিক্রম করায় দুটি ট্রলারসহ ১৩ রোহিঙ্গা জেলেকে আটক করেছিল আরাকান আর্মি।
উল্লেখ্য, মানবিক বিবেচনায় ১৮ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই ২০২৫ সালের মধ্যে আরাকান কর্তৃপক্ষ ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
