হাসিনার রায়ের দিন ট্রাইব্যুনালে সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৫৫, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন। ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামীর মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সেনাসদরে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এই রায় ঘোষণার দিন দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা চালাতে পারে বলে জনমনে আশঙ্কা ও উদ্বেগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই রায় ঘোষণার প্রতিবাদে দুইদিনের শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনগুলো। আজ রবিবার শাটডাউন কর্মসূচির প্রথম দিন।
ট্রাইব্যুনাল থেকে এই রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ও ট্রাইব্যুনালের ওয়েবপেজ। এর ফলে রায় সরাসরি দেখতে পাবে গোটা বিশ্ব। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বড় পর্দায় দেখানো হবে এই বিচারকাজ।
সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মামলাটির সংবেদনশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে আগামীকাল সোমবার পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এই মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবারও সেনা মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে। সেই অনুযায়ী সেনাও মোতায়েন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনালে।
গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।
এদিকে রায়কে ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সতর্ক রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নাশকতা প্রতিরোধে রাজধানীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।
