রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

| ১০ কার্তিক ১৪৩২

রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে: তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০:৩৮, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে: তথ্য উপদেষ্টা

রাজনৈতিক দলগুলো এখন সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানের কারণে এখনো তারা সরাসরি সংঘাতে জড়াচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সুফি ধারার গবেষণা ও সংলাপভিত্তিক সংগঠন ‘মাকাম’।

এসময় মাহফুজ আলম বলেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে, এবং আপনারা খুব অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই তা দেখতে পাবেন। আমার আশঙ্কা, যদি এর সঙ্গে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ দরবারগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে— এই তথ্য তিনি শুনেছেন। তাদের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে যে, ‘অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে।’

তথ্য উপদেষ্টার মতে, ‘এটা অন্তর্বর্তী সরকারের ইস্যু নয়; বরং ৫০ বছর ধরে চলা একটি সাংগঠনিক সমস্যা। সরকার পরিবর্তন হলেই মসজিদ ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের কমিটি পাল্টে যায়।’

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও সামাজিক স্তরে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে। দেশে ইসলামের বিভিন্ন ধারার মধ্যে সংলাপ ও সংযোগ না হলে রাষ্ট্র সংকটে পড়বে।

মাহফুজ আলম বলেন, গত ১৫ বছরে সুফি ধারার অনুসারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি রাজনৈতিক সংযোগ তৈরি হয়েছিল— তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, আওয়ামী লীগ তাদের রক্ষা করবে। কিন্তু এর বাইরেও কওমি ও অন্যান্য ধারার মানুষকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। 

তথ্য উপদেষ্টা জানান, কিছু মুসলিম রাষ্ট্রের দূতাবাসও দেশে মাজার সংস্কৃতির বিরোধিতা করছে। তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো অ্যাম্বাসি চায়, মাজারগুলো ধ্বংস হোক— এটা রাজনৈতিক ও আদর্শিক প্রভাবের অংশ।’

তিনি বলেন,  ‘ধর্মীয় গোষ্ঠীর লড়াই নিয়ে ভয় না পেয়ে, রাষ্ট্রীয় ও নীতিগত জায়গা থেকে এসব সংকটকে দেখতে হবে, না হলে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হবে।’
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মাজারে হামলার প্রসঙ্গ টেনে মাহফুজ আলম বলেন, ‘হামলার পর অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, শিগগিরই মাজারগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই কালচার টিকে গেলে কাল অন্য দলের ইসলাম এসে অন্য দলের মসজিদ ভাঙবে—এটা চলতে দেওয়া যায় না।’

বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকরা তার পদত্যাগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি তার কোন উত্তর দেননি।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন