শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

দ্বিতীয়বার আগা খান পদক স্থপতি মেরিনার হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২:৪২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০১:০৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দ্বিতীয়বার আগা খান পদক স্থপতি মেরিনার হাতে

কিরগিজস্তানের বিশকেক শহরে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমকে ২০২৫-এর আগা খান আর্কিটেকচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সোমবার এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ছিল গৌরবময় এক মুহূর্ত। মেরিনা তাবাসসুম তার আবাসন সমাধান “খুদি বাড়ি” শীর্ষক উদ্ভাবনের জন্য ২০২৫ সালের আগা খান আর্কিটেকচার পুরস্কার অর্জন করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যার টেকসই সমাধান হিসেবে এই প্রকল্পের অভিনব ও কার্যকর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান প্রিন্স রহিম আগা খান পঞ্চম বলেন, “পরিবেশের প্রতি যত্ন, জ্ঞান ও সহমর্মিতার সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে নির্মাণশিল্পে অনুপ্রাণিত করাই এই পুরস্কারের অন্যতম বড় লক্ষ্য। আজকের স্থাপত্যকে অবশ্যই জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে হবে, শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে এবং আমাদের মানবতাকে লালন করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই আমরা আশার বীজ বপন করি– নীরব দৃঢ়তার কাজ, যা পরিণত হয় নিরাপদ আশ্রয়ে; যেখানে ভবিষ্যৎ মর্যাদা ও আশায় বিকশিত হতে পারে।”

১৯৭৭ সালে প্রয়াত আগা খান চতুর্থ প্রিন্স করিম আগা খান এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এ পুরস্কার এমন স্থাপত্য ধারণাকে স্বীকৃতি দেয় যা মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করে এবং আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করে। 

এই পুরস্কারটি বহুত্ববাদ, সামাজিক পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক সংলাপ ও জলবায়ু-সচেতন নকশার অনুঘটক হিসেবে কাজ করা স্থাপত্যকে প্রাধান্য দেয়। 

পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিজয়ীদের মধ্যে ভাগ করা হয়, এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্থাপত্য পুরস্কার।

প্রতি তিন বছর অন্তর আয়োজিত এ পুরস্কারের ১৬তম আসরের প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় টোকতোগুল সাতিলগানোভ কিরগিজ ন্যাশনাল ফিলহারমোনিক-এ।  এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত এবং কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে এক্রেডিটেড বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

মেরিনা তাবাসসুম আর্কিটেক্টস ২০১৬ সালেও ঢাকার বায়তুর রউফ মসজিদ প্রকল্পের জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

আরও পড়ুন