শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

নবীজির পছন্দের ১০ খাবার

মাইসারা জান্নাত

প্রকাশ: ০০:০৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নবীজির পছন্দের ১০ খাবার

মানুষের সুস্থ জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানা গবেষণা ও আলোচনার ভিড়ে একটি প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে, সবচেয়ে সুষম ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস কোনটি হতে পারে? উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের দৃষ্টি চলে যায় সেই মহামানবের দিকে, যিনি ছিলেন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ রোল মডেল। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনধারা ছিল সরল, সংযমী ও স্বাস্থ্যসম্মত। তার খাদ্যাভ্যাসে যেমন ছিল আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, তেমনি ছিল সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের নিখুঁত সমন্বয়। এখানে নবীজি (সা.)-এর প্রিয় দশটি খাবার উল্লেখ করা হলো, যেগুলো আমাদের খাদ্যতালিকায় স্থান পেলে শরীর-স্থাস্থ্য উপকৃত হবে।

খেজুর : খেজুর ছিল নবীজি (সা.)-এর প্রতিদিনের খাবার। বিশেষ করে আজওয়া খেজুরের কথা হাদিসে এসেছে। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন বিষ ও জাদুর ক্ষতি তাকে স্পর্শ করবে না। খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ যা শরীরকে দেয় শক্তি ও সুরক্ষা।

ডুমুর : ডুমুরকে আল্লাহ কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। এই ফল হজমশক্তি ভালো রাখে, বাত ও গেঁটে বাতের মতো অসুখ কমাতে সাহায্য করে। নবীজি (সা.)-ও ডুমুরকে ভালোবাসতেন।

দুধ : দুধ নবীজি (সা.)-এর খুব প্রিয় খাবার ছিল। তিনি উট ও ছাগলের দুধ পান করতেন। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী। কোরআনে দুধকে বলা হয়েছে বিশুদ্ধ ও সুস্বাদু পানীয়।

মাংস : মাংসকে নবীজি (সা.) বলেছেন খাবারের রাজা। এতে থাকা প্রোটিন, আয়রন ও জিঙ্ক শরীরের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে তিনি সব সময় সংযম মেনে মাংস খেতেন, অতিরিক্ততা এড়িয়ে যেতেন।

আঙ্গুর : আঙ্গুর ছিল নবীজি (সা.)-এর আরেকটি প্রিয় ফল। এটি রক্ত পরিশোধন করে এবং কিডনি ও হজমের জন্য উপকারী হিসেবে পরিচিত।

মধু : মধু নবীজি (সা.)-এর দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ছিল। তিনি সকালে মধু পান করতেন। কোরআন ও হাদিসে মধুকে বলা হয়েছে আরোগ্যের উৎস। পাকস্থলীর অসুখ ও ক্ষুধামন্দায় মধু প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

জলপাই : জলপাই ও জলপাই তেলকে তিনি গুরুত্ব দিতেন। নবীজি (সা.) বলেছেন, জলপাই তেল খাও এবং শরীরে মাখো, কারণ এটি বরকতময় বৃক্ষ থেকে এসেছে। জলপাই তেল ত্বক, চুল ও হজমশক্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী।

যব : যবও ছিল নবীজি (সা.)-এর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। তিনি যবের রুটি, পায়েস ও স্যুপ খেতেন। অসুস্থদের জন্য যবকে তিনি কার্যকর মনে করতেন।

তরমুজ : নবীজি (সা.) খেজুরের সঙ্গে তরমুজ খেতে পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, তরমুজের শীতলতা খেজুরের উষ্ণতাকে ভেঙে দেয়। তরমুজ শরীরকে রাখে সতেজ এবং কিডনি ও হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

লাউ : লাউ ছিল নবীজি (সা.)-এর বিশেষ প্রিয় সবজি। সাহাবি আনাস (রা.) বলেন, তিনি দেখেছেন নবীজি (সা.) পাতিল থেকে লাউ খুঁজে খুঁজে খাচ্ছেন। লাউ শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

নবীজি (সা.)-এর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে আমরা যেমন শারীরিকভাবে উপকৃত হতে পারি, তেমনি প্রতিটি গ্রাসে সুন্নতের বরকতও লাভ করতে পারি।

সূত্র : ইসলামিক ফাইন্ডার

আরও পড়ুন