শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

রানু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার, বের হলো হত্যার রহস্য 

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রানু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার, বের হলো হত্যার রহস্য 

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর রানু বেগম হত্যা মামলার মূল আসামি কাজী রাসেল মাহমুদ ওরফে সবুজকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিবচরের পাচ্চর ইউনিয়নের চরকান্দি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পরে র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, ঢাকার ইব্রাহিমপুর থানার পশ্চিম শেওড়া পাড়ার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে রাসেল মাহমুদ শিবচরের যাদুয়রচর এলাকায় বসবাস করছিলেন। ৯ মাস আগে তিনি নিহত রানু বেগমের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন।

প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও, একপর্যায়ে রানু বেগমের ঘরে চুরির ঘটনায় ভাড়াটিয়া রাসেলকে সন্দেহ করতে থাকেন তিনি। এতে উভয়ের মধ্যে বিরোধ ও মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। ৪ মাস ভাড়া থাকার পর রাসেল রানু বেগমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল মাহমুদ স্বীকার করেন, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে রান্নাঘরে গোপনে লুকিয়ে থেকে রাত ১১টার দিকে রানু বেগমকে ঘরে ঢুকে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর ঘরে থাকা দুটি মোবাইল ফোন, কানের দুল, রাইস কুকার, কাপড়-চোপড় এবং কিছু নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যান। তিনি চুরি করা কানের দুল ও একটি মোবাইল ফোন ইতিমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন।

এরপরদিন সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা এলাকায় রানু বেগমের রক্তাক্ত লাশ নিজ ঘরে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সকালে ফোনে মাকে না পেয়ে ঢাকায় কর্মরত তার ছেলে খোকন হাওলাদার স্থানীয়দের খবর দেন। প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান এবং জানালা দিয়ে রানু বেগমের মৃতদেহ দেখতে পান। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, মামলা দায়েরের পরপরই ছায়া তদন্ত শুরু হয় এবং তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাসেল মাহমুদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

র‌্যাব-৮ কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, “রানু বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট। হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউই অপরাধ করে পার পাবে না।”


 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন