শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

শিল্পকলার ডিজির দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব আবুল ফয়েজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:১৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিল্পকলার ডিজির দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব আবুল ফয়েজ 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) পদে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এ দায়িত্ব পেলেন এই ক্যাডার কর্মকর্তা।

গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক অফিস আদেশে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন লিয়াকত আলী লাকী। পরে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৯ সেপ্টেম্বর মহাপরিচালক পদে নাট্যনির্দেশক ও গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেয়। পুনর্গঠন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির পরিষদ।

পাঁচ মাসের মাথায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মহাপরিচালক পদ থেকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগ করেন। 

এরপর ৪ মার্চ থেকে শিল্পকলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন দায়িত্ব পালন করছিলেন। এখন ওয়ারেছ হোসেনকে সরিয়ে প্রায় ছয় মাস পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল ফয়েজকে মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল। ওয়ারেছ হোসেন শিল্পকলার সচিব পদে কর্মরত।

দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম কার্যদিবসে শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন নবনিযুক্ত মহাপরিচালক। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যেহেতু একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান; তাই সারা দেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সংস্কৃতি মানে হলো, মানুষের মধ্যে যে নান্দনিকতা অথবা অমঙ্গলের বিরুদ্ধে যে মঙ্গল অথবা অশান্তির বিরুদ্ধে যে শান্তি, মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করে তাদের মধ্যে এক ধরনের সম্প্রীতি তৈরি করা।’

এই নতুন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই সবকিছুর জন্য সংস্কৃতি চর্চার ভীষণ প্রয়োজন। একজন শিল্পী যখন শৈল্পিকতার মাধ্যমে তার পরিবেশনা উপস্থাপন করেন সেগুলো মানুষকে আপ্লুত করে, মানুষকে হৃদয়ের কাছাকাছি যাওয়ার একটা জায়গা করে দেয়।’

শিল্পকলা একাডেমির কর্মীদের শুধু চাকরি বিবেচনা না করে এই কাজকে ‘মিশন এবং ভিশন’ হিসেবে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নতুন মহাপরিচালক বলেন, “মিশন ও ‘ভিশনকে’ একত্রিত করে বাংলাদেশের মানুষকে অপসংস্কৃতির হাত থেকে দূরে এনে সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেন এবং এই ধারাটা বজায় রাখতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়।”

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মু. বিল্লাল হোসেন খান, উপসচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা শাখা-২ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব শিল্পকলা শাখা) মৌসুমী সরকার রাখী।

এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং অর্থ উপবিভাগের উপপরিচালক সরকার জিয়া উদ্দিন আহাম্মদও বক্তব্য দেন।

নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হালিম চঞ্চল, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান, চারুকলা বিভাগের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রদ্যোত কুমার দাস, প্রশিক্ষণ বিভাগের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নাট্যকলা) ড. আইরিন পারভীন লোপা, সংগীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের উপ পরিচালক বেগম শামীমা আক্তার জাহান, প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক জি. এম. জাকির হোসেন।

আরও পড়ুন