বড় ক্ষতির মুখে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সিনেমা

ওভারসাইজড বাজেটের কারণে নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোতে দর্শক আগ্রহের অভাবে বড় ক্ষতির শিকার হচ্ছে কয়েকটি সিনেমা। বিশেষ করে "টাইটানিক" তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত "ওয়ান ব্যাটল আফটার আনাদার" থিয়েটারিকাল মুক্তির মাধ্যমে প্রায় একশ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে।

ভার্জিনিয়ার সিনেমা মালিক মার্ক ও’মিয়ারা জানান, "এই সপ্তাহ শেষে কিছু পুরস্কারপ্রার্থী সিনেমা খুবই খারাপ ব্যবসা করেছে। এদের মধ্যে খুব দ্রুতই দর্শক হারিয়েছে এ২৪ প্রযোজিত ডোয়াইন জনসন অভিনীত "দ্য স্ম্যাশিং মেশিন"। এছাড়া, চ্যানিং টাটুম অভিনীত ড্রামেডি সিনেমা "রুফম্যান"-ও দর্শক আকর্ষণ করতে হয়েছে ব্যর্থ।

সমালোচকরা "ওয়ান ব্যাটল আফটার আনাদার" সিনেমাটিকে চমৎকার বললেও প্রায় তিন ঘন্টার এই আর রেটেড মূল গল্পের সিনেমা প্রযোজক কোম্পানির জন্য ব্যবসায়িকভাবে খুবই চ‍্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়ালনার ব্রসের প্রযোজনায় সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ১,৩০০ কোটি ডলার এবং প্রচারণা খরচ ৭০০ কোটি ডলার।

এছাড়া টিকিট বিক্রির অর্থ স্টুডিও ও থিয়েটার পরিচালকদের মধ্যে সমান ভাগ হয়। ডিক্যাপ্রিওর সিনেমায় প্রথম অর্থ প্রাপ্তির নিয়ম থাকায় স্টুডিওর জন্য ক্ষতি কমানো কঠিন।

ফান্ডাঙ্গো'র বিশ্লেষক শন রবিনস জানান, "দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে এই ধরনের প্রিমিয়াম সিনেমাগুলো। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দর্শকরা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার অভ্যস্ত হয়ে গেছে।" কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রযোজকরা থিয়েটারে একছত্রভাবে সিনেমা প্রদর্শনের সময়কাল বহুলাংশে কমিয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে তুলনামূলক কম বাজেট হওয়ায় "রুফম্যান" সিনেমার ক্ষতির পরিমানও কিছুটা কম। তবে "ওয়ান ব্যাটল আফটার আনাদার" আন্তর্জাতিক মহলে অস্কার প্রচারণার অংশ হলেও, ব্যবসায়িক দিক থেকে বড়ো ক্ষতির মুখে রয়েছে।

এ২৪-এর নতুন প্রযোজনা নীতি অনুসারে বড় বাজেটের সিনেমার ঝুঁকি অনেক গুন বেড়ে গেছে। প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের বাজেটের "দ্য স্ম্যাশিং মেশিন" ছবিটি ব্যর্থ হলে ক্ষতির মাত্রাও অনেক বেশি হবে। তবে বিদেশি চুক্তি বিক্রির মাধ্যমে আংশিক ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে।